March 19, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

অনলাইন ডেস্ক : দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বিকেলে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিন হাজার ২০০ মেগাওয়াট থেকে আমরা ১৩ হাজারেরও বেশি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। যেখানে গ্রিড লাইন নেই, সেখানে সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে। পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অগ্রগতি হচ্ছে। এ ছাড়া বহুমুখী বিদ্যুৎপ্রকল্পসহ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হবে। মোট ২১টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এ জন্য আমাদের অনেক কথা শুনতে হয়েছে। তবে এটা মাইলফলক যে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে একটি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। যাতে প্রয়োজনে এক দেশ থেকে সহজে আরেক দেশে বিদ্যুৎ আমদানি করা যায়। এ ছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৬ সালে আমরা সরকার গঠনের সময় বিদ্যুতের হাহাকার ছিল। এর আগে বিদ্যুৎ উৎপাদন চার হাজার ৩০০ মেগাওয়াট থেকে নেমে তিন হাজার ২০০ মেগাওয়াটে নেমে আসে। আমরা সরকার গঠনের পর বিশেষ আইন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে শুরু করলাম। ২০০১ সালে আমাদের গৃহীত অনেক প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে খাম্বা তৈরিতে ব্যস্ত ছিল বিএনপি সরকার।’

আজ এই চারটি বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনের ফলে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতে যাচ্ছে ৩১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে তেলভিত্তিক তিনটি এবং গ্যাসভিত্তিক একটি।

তেলভিত্তিক যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে সেগুলো হলো- রাজলঙ্কা পাওয়ার কোম্পানির নাটোরে ৫২.২০ মেগাওয়াট, ডিজিটাল পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের নারায়ণগঞ্জের গগননগরে ১০২ মেগাওয়াট, সিনহা পিপলস এনার্জির মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টিতে ৫২ মেগাওয়াট এবং রিজেন্ট এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার কোম্পানির ঘোড়াশাল ১০৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এ ছাড়া এদিন মেঘনা ঘাট-আমিনবাজার ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন ও রাজধানীর লালবাগে নবনির্মিত ১৩২/৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশন উদ্বোধন করা হয়েছে।

নাটোর শহরের বড়ভিটা এলাকায় শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় একর জমির ওপর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

এ ছাড়া, মেঘনা ঘাট-আমিনবাজার ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনটি নির্মাণ করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। এর মাধ্যমে মেঘনা ঘাট কেন্দ্রের বিদ্যুৎ ঢাকা শহরের পশ্চিম অংশে সরবরাহ করা হবে। অন্য প্রকল্পটি হলো লালবাগ ১৩২/৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র। এটি নির্মাণের ফলে রাজধানীর ৮০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক সেবা পাবে।

Print Friendly, PDF & Email