আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ : আগামী জুলাইয়ে চালু হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে চালু হচ্ছে না বহুল প্রতীক্ষিত সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্প। ডেনমার্কের অর্থ সহায়তা না পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ পরিস্থিতিতে ভরা গ্রীষ্মে নগরবাসীর পানি সঙ্কট তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ভারী শিল্পের ব্যাপক দূষণের কারণে রাজধানীতে পানির প্রধান উৎস শীতলক্ষ্যার পানিও পরিশোধন করা যাবে না।
সম্প্রতি সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের মূল্যায়ন কমিটির এক বৈঠকে এসব কথা উঠে আসে।
প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫০০ মিলিয়ন ডলার। আশা করা হয়েছিল ব্যয়ের ৪০ শতাংশ বা ২০০ মিলিয়ন ডলারের যোগান দেবে ড্যানিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ডানিডা)।
স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শোধনাগারটি চালু হতে হাতে সময় আছে তিন মাসেরও কম। অথচ প্রকল্পের অর্থায়ন অনুদান হিসেবে আসবে, নাকি ঋণ হিসেবে আসবে এ বিষয়ে এখনও পরিষ্কার কিছু জানায়নি সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।
ডানিডা’র বাইরে ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক যথাক্রমে ১৩০ মিলিয়ন ডলার ও ৭০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
প্রকল্পের অবস্থা সম্পর্কে জানতে কথা হয় ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাসকিম এ খানের সঙ্গে। তিনি জানান, জুলাইয়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব নয়।
সাম্প্রতিক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা থেকে মূল্যায়ন কমিটি জানায়, অদূর ভবিষ্যতে শীতলক্ষ্যার পানির ব্যবহারও বন্ধ করতে হবে।
শীতলক্ষার দূষিত পানিতে সমস্যা হওয়ার কারণে সুপারিশ আসে মেঘনার পানি পরিশোধনের। কিন্তু ঢাকার সঙ্গে ভৌগোলিক দূরত্বের কারণে মেঘনার পানি শীতলক্ষ্যার মতো সুবিধাজনক হবে না।
রাজধানী ঢাকার ৩৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকার প্রায় এক কোটি ২৫ লাখ মানুষ ওয়াসার পানি ব্যবহার করেন। শীতলক্ষ্যার প্রি-ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের পর সায়েদাবাদ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে এগুলোর পরিশোধন করা হয়। ঢাকার পানির চাহিদার ২২ শতাংশ পূরণ করে নদীর পানি। উত্তোলনকৃত পানির মাধ্যমে বাকি ৭৮ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে ওয়াসা।
ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন নারী ১০ মাইল হেঁটে পানি সংগ্রহ করলে সেটা গণমাধ্যমের নজরে আসে না। কিন্তু ঢাকার পানি সঙ্কট মিডিয়ার দৃষ্টি এড়ায় না’।
বুয়েটের অধ্যাপক ড. মুজিবুর রাহমান বলেন, ভূগর্ভস্থ পাইপ ছাড়া ঢাকার জন্য মেঘনা নদী থেকে পানি বহন করা সরকারের জন্য ব্যয়বহুল হবে।
তিনি বলেন, শীতলক্ষ্যাতেই সায়েদাবাদের তিনটি পানি শোধনাগার পরিচালনার মতো পর্যাপ্ত পানি রয়েছে।
এ বিভাগের আরো..
কয়রায় জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন শহিদ সন্তান সাদি মহম্মদ