অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : সঞ্চয়পত্রের সুদ হার হ্রাসের পর ব্যাংক আমানতের সুদ হারও কম পারে।তবে এটি রাতারাতি হবে না।ধীরে ধীরে কিছুটা সময় নিয়ে কমবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। একই সঙ্গে ঋণের সুদ হার কমে আসবে এমন আশাও করছেন তারা।
দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাংক ঋণের সুদ হার কমানোর দাবি জানিয়ে আসছে দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। তাদের অভিযোগ, উচ্চ সুদের কারণে কাঙ্খিত শিল্পায়ন হচ্ছে না। ঋণের সুদ পরিশোধ করতে যেয়েই রুগ্ন হয়ে পড়ছে অনেক প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে উৎপাদন ব্যয় বেশী হওয়ায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় সুবিধা করতে পারছে না দেশীয় পণ্য।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকেও ব্যাংকগুলোকে স্প্রেড তথা আমানত ঋণের সুদ হার কমিয়ে আনার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে এ তাগিদ দেওয়া হলেও স্প্রেড ছিল ৫ শতাংশের বেশী। ব্যাংকগুলোর ভাষ্য, সঞ্চয়পত্রের উচ্চ সুদ হারের কারণে তারা আমানতের সুদ হার কমাতে পারছে না। আমানতের সুদ হার কমানো হলে এখান থেকে অর্থ সঞ্চয়পত্রমুখী হয়ে পড়বে। আর আমানতের সুদ হার কমছে না বলে ঋণের সুদ হারও কমাতে পারছে না ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃপুন তাগিদ এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় ঋণের চাহিদা কমে যাওয়ার প্রভাবে অবশেষে মার্চে স্প্রেড ৫ শতাংশের নিচে নেমেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক তাতে সন্তুষ্ট নয়।চলতি মাসের শুরুর দিকে তফসিলি ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে গভর্নর ড. আতিউর রহমান স্প্রেড ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেন।
গত তিন মাসে বেশীরভাগ ব্যাংকেই মেয়াদী আমানতের সুদ হার কমেছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে কোনো ব্যাংকই মেয়াদী আমানতে ১০ শতাংশের বেশী সুদ দেয় না। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সুদের হার ৮ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে।
এদিকে রোববার সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদ হার ২ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এ হার এখন থেকেই কার্যকর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ, সঞ্চয়পত্রের সুদ হার হ্রাস এবং ঋণের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে ব্যাংকগুলো আমানত ও ঋণের সুদ হার কমাতে বাধ্য হবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ বিভাগের আরো..
অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে দু-একদিনের মধ্যে টাস্কফোর্স
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে এফবিসিসিআই সভাপতির নেতৃত্বে বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের দুবাই যাত্রা
সিলেটে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে কাজ চলছে : কৃষিমন্ত্রী