March 28, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

সমরাস্ত্র রপ্তানিতে মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্ত্র ও গোলাবারুদ আমদানি কমিয়ে বাংলাদেশ অর্ডনেন্স ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষকে রপ্তানিতে বেশি মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রারম্ভিক ভাষণে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছু আমদানি নয়। আমরা নিজেরাই আমাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরি করবো। আমাদের এ বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে যে, দরকার ও যথোপযুক্ত হলে আমরা সমরাস্ত্র রপ্তানিও করতে পারবো।

তিনি বলেন, অস্ত্র ও গোলাবারুদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে অর্ডনেন্স ফ্যাক্টরির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ়, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ও আঞ্চলিক অখন্ডতা সুসংহত রাখতে উন্নত, আধুনিক ও সময়োপযোগী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অপরিহার্য।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে অধিকতর শক্তিশালী করতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এরমধ্যে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণ, ভৌত ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প।

তিনি বলেন, তার সরকার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭৪ সালে প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করেছে এবং এর আওতায় ৩ বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকীকরণের কার্যক্রম চলছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীর প্রথাগত মান উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অগ্রগতির ধারা সুসংহত করা।

আওয়ামী লীগ যখনই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে, তখনই সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে কাজ করেছে একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে বাংলাদেশকে অবশ্যই একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদকালে তার সরকার সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে অনেকগুলো ইউনিট গঠন করে। সে সময় ১টি পদাতিক ও ১টি কম্পোজিট ব্রিগেড, স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন, ১টি সাঁজোয়া রেজিমেন্ট, ৩টি পদাতিক ইউনিট, ২টি আর্টিলারী ইউনিট, ১টি আরই ব্যাটালিয়ন, ২টি ইসিবি এবং ১টি এসটি ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা ও পুনর্গঠন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিরক্ষা সচিব কাজী হাবিবুল আওয়াল। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ৩ বাহিনী প্রধানগণ এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ।

Print Friendly, PDF & Email