অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিটেন্স প্রেরণকারী বেশির ভাগ দেশ থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে। সবগুলো দেশ মিলে এ সময়ে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮৩ কোটি পাঁচ লাখ ডলার বেশি রেমিটেন্স এসেছে।
এ সময়ে প্রবাসীরা এক হাজার ২৫৫ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিলো এক হাজার ১৭২ কোটি ৫৩ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, এপ্রিলে কাতার থেকে দুই কোটি ৮৫ লাখ ডলার, জার্মানী থেকে ১৬ লাখ ডলার, মালয়েশিয়া থেকে ১২ কোটি ৪৬ লাখ, ইতালী থেকে এক কোটি ৮২ লাখ এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৬৯ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছে। অন্যদিকে আগের মাসের তুলনায় এপ্রিলে রেমিটেন্সের পরিমাণ কমলেও সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স প্রেরণকারী দেশ সৌদি আরব থেকে এসেছে ২৯ কোটি ৮৩ লাখ, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২৩ কোটি ৮২ লাখ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯ কোটি ৬ লাখ, ওমান থেকে ৮ কোটি ১২ লাখ, বাহারাইন থেকে ৮ কোটি ৯৫ লাখ এবং যুক্তরাজ্য থেকে ৬ কোটি ৪৮ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছে।
প্রতিবেদনে তথ্যমতে, রেমিটেন্স প্রেরণকারী শীর্ষ দেশ সৌদি আরব থেকে (জুলাই-এপ্রিল) সময়ে ২৭৪ কোটি এক লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এদেশ থেকে ২৫৮ কোটি পাঁচ লাখ ডলার এসেছিল। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে যেখানে ২৩৪ কোটি পাঁচ লাখ ডলার এসেছে আগের অর্থবছরের একইসময়ে ছিল ২২১ কোটি ২২ লাখ ডলার। যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, ওমান, বাহারাইন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ অধিকাংশ দেশ থেকে আগের অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে রেমিটেন্সের পরিমাণ বেড়েছে।
তবে আলোচ্য সময়ে কুয়েত থেকে ৮৮ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে তা ছিল ৯১ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। লিবিয়া থেকে ১০ মাসে এসেছে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে আসা রেমিটেন্সের তুলনায় কম। যুক্তরাজ্য থেকে আগের অর্থবছরের ১০ মাসে ৭৫ কোটি ৭৮ লাখ ডলার আসলেও এ অর্থবছরের এর পরিমাণ ৬৫ কোটি ১৬ লাখ ডলার। এর পাশাপাশি জার্মানী, জাপান ও ইরান থেকেও আসা রেমিটেন্সের পরিমাণ কমেছে।
এ বিভাগের আরো..
দু:স্থদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ সিপিটি’র
দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করুন : ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
দুপচাঁচিয়ায় অগ্রণী ব্যাংকের আর্থিক স্বাক্ষরতা কর্মসূচি