March 28, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

সারিয়াকান্দিতে বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত

বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় কামালপুর ইউনিয়নের গোদাখালি এলাকায় শুক্রবার বিকেলে ভেঙে যাওয়া বাঁধের অংশ দিয়ে যমুনা নদীর পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। এদিকে পানির প্রবল স্রোতে একের পর এক নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শনিবার দুপুর পর্যন্ত ধসে যাওয়া অংশ দিয়ে পানি সারিয়াকান্দির পার্শ্ববর্তী গাবতলী ও ধুনট উপজেলায় ঢুকতে শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

এলাকাবাসী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সারিয়াকন্দি উপজেলার কামালপুরে যমুনা নদীর পশ্চিম তীরের সাথে বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ করছে। কাজ শেষ না হতেই শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ বাঁধের ৫০ মিটার ধসে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। এর আগে গত বছরের ২৮ আগস্ট গভীর রাতে পাশ্ববর্তী চন্দনবাইশা ইউনিয়নে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। এতে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। ভেঙে যাওয়া ওই বাঁধটির পেছনেই চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন একটি বাঁধের নির্মাণ শুরু করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা। পাউবো দাবি করেছে প্রায় দুই মাসে বাঁধের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

বাঁধ ভাঙার কারণ সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, শুক্রবার নির্মাণাধীন বাঁধটির যে অংশ ভেঙে গেছে সেখানে দুই পাশে উঁচু করে মাটি রাখা হয়েছিল আর মাঝখানে বালু ফেলার কাজ চলছিল। এই স্থানে আগে থেকে একটি পুকুর ছিল। এ কারণে সমস্যাটি হয়েছে।

এ ব্যাপারে বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গ্রামবাসীকেও কাজ করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবাহ ঠেকানোর জন্য আপাতত বাঁশ দিয়ে পাইলিংয়ের চিন্তা ভাবনা করছি।

Print Friendly, PDF & Email