বিদেশ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সব রাজ্যে সমকামীদের মধ্যে বিয়ের বৈধতা দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এতদিন আইনতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬টি প্রদেশে সমকামী বিয়ে প্রচলিত ছিল। এ রায়ের ফলে ৫০টি অঙ্গরাজ্য এবং ডিস্ট্রিক অব কলাম্বিয়ায় সমলিঙ্গের মানুষের মধ্যে বিয়ের বিষয়টি বৈধতা পেল।
সমকামীদের মধ্যে বিয়ের এ বৈধতা শুধু বিয়ের ক্ষেত্রে সমতাই নয় বরং দেশটির অর্থনীতিতে বিরাট ইতিবাচক পরিবর্তনের ঈঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। লস এঞ্জেলসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
তাদের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ ইয়র্ক, ম্যাসাচুসেট, পেনসিলভানিয়া ইলিনইস এবং ওয়াশিংটন এলাকায় বিবাহ পরিকল্পনা ও সমকামীদের বিয়ে সংক্রান্ত ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে অতিরিক্ত ২.৬ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে।
এই আইন কার্যকর হলে মার্কিন চাকরিজীবীরা তাদের কর্মস্থলেও অনেক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। বিশেষ করে বিপরীত লিঙ্গের চাকরিজীবীরা কর্মস্থলের পরিবেশ নিজের মধ্যে সমন্বয় করতে পারবেন। তাছাড়া বিপরীত লিঙ্গের চাকরিজীবীদের মতো তারাও সমান সুবিধা দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে একজন দম্পতি বিয়েতে প্রায় ২৬ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করেন উল্লেখ করে উইলিয়ামস ইনস্টিটিউটের স্কলার ও ম্যাসাচুসেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড পাবলিক পলিসি সেন্টারের পরিচালক লি ব্যাডগেট বলেন, ১৩টি অঙ্গরাজ্যেই প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার সমকামী জুটি রয়েছেন যারা এখন বিয়ে করতে পারবেন। আর তারা বিয়ে করলে অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে।
উইলিয়ামস ইনস্টিটিউটের মতে, এসব সমকামীদের বিয়ের কর হিসেবেই ৪৭.৭ মিলিয়ন ডলার পাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এছাড়া এর মাধ্যমে ২০৬৯ থেকে ৬২১০ চাকরির ক্ষেত্রও সৃষ্টি হবে।
উল্লেখ্য, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে আমেরিকায় সমকামী বিবাহিতের সংখ্যা তিন লাখ ৯০ হাজার। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন সেদেশে বসবাসকারী সমকামীরা।
সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডে গণভোটের মাধ্যমে সমকামী সম্পর্ক বৈধতা পেয়েছে। আর এবার আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, বিয়ে করার অধিকার রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে। সেই মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে বঞ্চিত করা হবে না সমকামীদের।
এ বিভাগের আরো..
জলবায়ু সংকট এড়াতে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদেশগুলোকে সৎ হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে আর্থিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
নয়াদিল্লি থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী