নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরে ১২ হাজার ৬৮৪ একর সরকারি বনভূমি জবরদখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এমনটি ঘটেছে বলে ধারণা করছে জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।
বিষয়টি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিতে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে কমিটির পক্ষ থেকে গাজীপুর বন এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অতিদ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবিলম্বে দখল ভূমিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরুর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদ ভবনে রবিবার অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ তাগিদ দেওয়া হয়।
বৈঠকে বন অধিদফতরের নিকট বনভূমির পরিমাণ, প্রকৃত বনের পরিমাণ, প্রজাতি অনুযায়ী বৃক্ষের সংখ্যা, কাঠের পরিমাণ ইত্যাদি সংক্রান্ত হালনাগাদ এবং সম্পূর্ণ বন ইনভেন্টরি নেই বলে জানানো হয় কমিটি সূত্রে।
এ সময় অবৈধভাবে কাঠ পাচারের পরিধি সংক্রান্ত সম্পূর্ণ এবং বিশ্বাসযোগ্য তথ্য নেই বলেও জানায় বন অধিদফতর। কমিটি বনভূমির পরিমাণ, প্রকৃত বনের পরিমাণ, প্রজাতি অনুযায়ী বৃক্ষের সংখ্যা এবং কাঠের পরিমাণ সংক্রান্ত চলমান ইনভেন্টরি অব্যাহত রাখার সুপারিশ করে।
একই সঙ্গে বন বিভাগ থেকে কেন্দ্রীয় এবং বিভাগীয় পর্যায়ে মনিটরিং সেল গঠনের মাধ্যমে নিবিড় তদারকি, পরিদর্শন ও সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং অনিষ্পন্ন বন মামলাগুলো নিবিড় তদারকি ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার সুপারিশ করে।
বৈঠকে বন অধিদফতরের সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজের সমন্বয় ও অসযোগিতার অভাবে বন ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হচ্ছে মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি বন দখলকারী কোনো প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশগত ছাড়পত্র না দেওয়ার, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় সাধন এবং মাঠপর্যায়ে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদফতর ও বন বিভাগের মধ্যে ফলপ্রসূ সমন্বয় ও সহযোগিতা নিশ্চিত করার প্রদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
এ ছাড়া বৈঠকে উপকারভোগী নির্বাচনে সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ অনুসরণ করা হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কমিটিতে এক-তৃতীয়াংশ মহিলা সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে কমিটি।
কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আব্দুস শহীদ, পঞ্চানন বিশ্বাস, বেগম রেবেকা মমিন, মো. শামসুল হক টুকু, মঈন উদ্দীন খান বাদল, এ কে এম মাঈদুল ইসলাম এবং রুস্তম আলী ফরাজী অংশ নেন। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, অডিট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিভাগের আরো..
আগামীকাল মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস
মানুষের কল্যাণে নীরবে যারা কাজ করছেন তাদের সম্মান দিন : প্রধানমন্ত্রী
স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ থাকবে ২৩-২৫ মার্চ