আদালত প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা) মৃত্যুদণ্ডাদেশের আদেশ বহাল চেয়ে দুই দিনে শুনানি শেষ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। যেহেতু তাদের দিক থেকে আপিলের আবেদন ছিল না সেক্ষেত্রে তাদের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ সাকার মৃত্যুদণ্ডাদেশ কেন বহাল থাকতে হবে সেই পয়েন্ট ধরে শুনানি করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা এর আগে টানা ৬ দিনে মামলার বিবরণ ও সাক্ষ্য তুলে ধরেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
যে যে জায়গায় তাদের আপিলের সুযোগ আছে বলে তারা মনে করেন সেইদিকগুলো আদালতের সামনে উপস্থাপন শেষে গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। আজ শুনানি শেষে আগামী রবিবার পর্যন্ত কাযক্রম মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ। রবিবার রাষ্ট্রেপক্ষের শুনানির বিপরীতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করবে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানি গ্রহণ চলছে। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আপিল মামলায় যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। তারা সাকা চৌধুরীর সর্বোচ্চ সাজা বহাল রাখার আরজি জানিয়েছে। রবিবার থেকে আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করবে।
এর আগে গত ১৬ মে আদালতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে আপিল শুনানি শুরু করেন তার প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
গত ১৬ জুন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার পরপরই শুরু হয় সাকার আপিল মামলার শুনানি। এটি আপিল বিভাগে পঞ্চম মামলার শুনানি।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সাকা চৌধুরীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১। একই বছরের ২৯ অক্টোবর খালাস চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করেন তিনি।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে চারটিতে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে সাকা চৌধুরীকে। তিনটি অভিযোগের প্রত্যেকটিতে ২০ বছর এবং আরও দুটি অভিযোগের প্রতিটিতে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে তাকে। সব মিলিয়ে মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও মোট ৭০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে।
যে চারটি অভিযোগে সাকাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, রাউজানের সুলতানপুর গ্রামে তিনজনকে গণহত্যা, রাউজানের ঊনসত্তরপাড়ায় ৫০-৫৫ জনকে গণহত্যা এবং চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোজাফফর আহম্মদ ও তার ছেলে শেখ আলমগীরকে হত্যা।
এ বিভাগের আরো..
বিচার বিভাগে আস্থা হারালে খারাপ দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়: প্রধান বিচারপতি
২ বছর পর খালাস পেলেন সাংবাদিক চপল
ওসি ফিরোজ কবির সস্ত্রীক দন্ডিত