March 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে ৫ শিশুসহ ৬ জনের প্রাণহানি

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রভাবশালীদের সহায়তায় নিম্ন আয়ের লোকজন অবৈধভাবে বসতি গড়ে তোলে চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি পাহাড়গুলোতে। আর ঝুঁকিপূর্ণ এইসব বসতির বাসিন্দারা পাহাড় ও মাটি ধসে প্রতি বছরই মারা যাবে এটাই যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে লালখান বাজারের পোড়া কলোনি এলাকায় দেয়াল ধসে মরিয়ম বেগম (৩০) তার মেয়ে সুরাইয়া (২)  ও একই এলাকার আঁখি (৫) মারা যান। রাত দুইটার দিকে আমিন কলোনিতে শাহজাহান মিস্ত্রীর ঘরে পাহাড় ধসে পড়লে আরাফাত হোসেন ফরিদ (১২), উম্মে সালমা (৫) ও বিবি মরিয়ম (২) নামে তিন ভাই-বোন মাটিচাপায় মারা যায়।

স্থানীয় লোকজন মাটিচাপা পড়া শিশুদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

সংবাদ মাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক জাহাঙ্গীর আলম।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন দেয়াল ধসে প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “রাতভর টানা বৃষ্টির কারণে পানির ঢলে দেয়াল ধসে পড়ে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।”

এ ঘটনায় নগরীর লালখান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের নিচে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি। এসময় তিনি নিহতের প্রত্যেকের পরিবারকে বিশহাজার টাকা করে দেওয়ারও ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য, বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ও দেওয়াল ধসে গত ৮ বছরে প্রায় ২০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে ২০০৭ সালের ১১ জুন স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড় ধসে চট্টগ্রামে ১২৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া ২০১১ সালের ১ জুলাই পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৮ জনসহ বাটালি পাহাড়ের রিটেইনিং দেয়াল ধসে ১৭ জন মারা যান। ২০১২ সালে ১৭ জুন নগরীর ফিরোজ শাহ কলোনিসহ বিভিন্ন এলাকায় ২৩ জন মারা যান। ২০১৩ সালে পাহাড় ও দেয়াল ধসে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৫ জনের।

Print Friendly, PDF & Email