বিদেশ ডেস্ক : স্বাস্থ্য সম্পর্কে দারুণ সচেতন সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র বর্তমান তুর্কমেনিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে অধূমপায়ী দেশ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ডব্লিউএইচও প্রধান মার্গারেট শ্যান নির্বাসিত জাতি-দেশটি সফরকালে জানান, বিশ্বের ধূমপায়ীদের সবচেয়ে কম অনুপাতটি তুর্কমেনিস্তানের। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র আট শতাংশ ধূমপান করে।
দেশটির রাজধানী আশকাবাদে অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য বিষয়ক এক সম্মেলনে স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট ও দন্তচিকিৎসক হিসেবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গুরবাঙ্গুলি বারদিমুখামেদভকে এ তথ্য জানিয়ে অভিনন্দিত করেন ডব্লিউএইচও প্রধান।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যসূত্রে শ্যান জানান, ২০১১ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনে অনুমোদন দেয় দেশটির সরকার এবং সময়ের সাথে সাথে এরই মধ্যে দেশটি প্রকাশ্য স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ১৯৯০ সালে তুর্কমেনিস্তানে ১৫ বছরের ওপর ২৭ শতাংশ পুরুষ এবং এক শতাংশ নারী ধূমপান করত। এক দশক পরই দেশটিতে প্রকাশ্যে উন্মুক্ত স্থানে, সরকারি ভবনে ও সেনাবাহিনীতে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়, একইসাথে নিষিদ্ধ করা হয় তামাকের সব ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারও।
২০১২ সালে সারা বিশ্বে ১৫ বছরের বেশি বয়সী ৩১.১ শতাংশ পুরুষ ধূমপান করেছে এবং এক্ষেত্রে নারীদের অনুপাত ছিল ৬.২ শতাংশ।
দেশটির প্রাক্তণ প্রেসিডেন্ট সাপারমুরাত নিয়াজোভ ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালীন মারা যান। অশ্বারোহী হিসেবে খ্যাত নিয়াজোভ ধূমপানের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছিলেন এবং আশকাবাদকে ঘিরে থাকা পার্বত্য এলাকায় ‘পাথ অব হেলথ’ বা ‘স্বাস্থ্যের পথ’ নামে ৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক নির্মাণ করেছিলেন, যেখানে সরকারি কর্মকর্তাদের হাঁটতে বাধ্য করা হতো।
নিয়াজোভের পথেই হেঁটে চলেছেন তার উত্তরসূরী দেশটির বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান বারদিমুখামেদভ।
গত এপ্রিলে গ্যাসসমৃদ্ধ দেশটি জাতীয় পর্যায়ে ব্যায়ামের মাস পালন করেছিল এবং ‘স্বাস্থ্য ও সুখ’ স্লোগাননির্ভর নানারকম খেলাধুলামূলক কর্মসূচির আয়োজন করেছিল।
এ বিভাগের আরো..
লবণ কম খেলে উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি কমবে ৫০ শতাংশ
নাটোরে ’হারল্যান স্টোর’ উদ্বোধন করলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস
ঈদ উল আযহা উপলক্ষে টনি খান ইনস্টিটিউটের বিশেষ কর্মশালা