September 28, 2023

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

খালেদার লন্ডনের ভিসার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক : লন্ডন যেতে ভিসার আবেদনপত্র জমা দেওয়াসহ সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসন আবেদনপত্র জমা দিতে গুলশানের দুই নম্বরে ‘ভিএফএফ গ্লোবাল’ অফিসে যান।

সেখানে ছবি তোলা, আঙুলের ছাপসহ যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তিনি বাসায় ফিরে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কূটনীতিক সাবিহউদ্দিন আহমেদ।

চিকিৎসার জন্য দুই-একদিনের মধ্যেই তিনি ঢাকা ছাড়তে পারেন বলে সকালে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ২১ অগাস্ট মামলায় হুলিয়া নিয়ে গত সাত বছর ধরে লন্ডনে রয়েছেন।

দলের মুখপাত্রের দয়িত্বে থাকা আসাদুজ্জামান রিপন জানান, খালেদা জিয়া সেখানে দিন দশেক থাকতে পারেন। তাকে দুই বার ডাক্তার দেখাতে হবে। সেই হিসেবে সপ্তাহখানেক অথবা সর্বোচ্চ ১০ দিন তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করবেন।

খালেদা কোন সমস্যার জন্য চিকিৎসা নেবেন সে বিষয়ে রিপন কিছু না বললেও বিএনপির একাধিক নেতা এ প্রশ্নে চোখের চিকিৎসার কথা বলেছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা ইতোমধ্যে তার চোখের চিকিৎসার কথা বলে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার বিচারকের কাছে বিদেশে যাওয়ার অনুমতিও চেয়েছেন।

২০০৬ সালের শেষ দিকে ক্ষমতা ছাড়ার পর যুক্তরাজ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় সফর এটি। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফেরার আগে বড় ছেলে তারেককে দেখতে লন্ডনে গিয়েছিলেন তিনি।

বিএনপি নেতারা জানান, খালেদা জিয়া গত বছর ওমরাহ করতে সৌদি আরবে গেলে তারেকও লন্ডন থেকে সেখানে গিয়েছিলেন। এরপর আর মা-ছেলের দেখা হয়নি।

ডজন খানেক মামলার পলাতক আসামি তারেক ২০০৮ সাল থেকে পরিবার নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বৈধতা হারানোয় তিনি এখন শরণার্থী হিসেবে দেশটিতে অবস্থান করছেন বলে ঢাকা ও লন্ডনের বিভিন্ন সূত্রের খবর।

প্রতি বছরের মতো এবারও রোজার সময় ওমরাহ করতে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল খালেদা জিয়ার। কিন্তু ওই সফর তিনি শেষ মুহূর্তে বাতিল করেন দলের শীর্ষ নেতাদের কারাগারে থাকার কথা বলে।

সে সময় তারেকেরও সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন আসে। পাসপোর্টের মেয়াদ না থাকলে তিনি কীভাবে সৌদি আরবে যেতে চেয়েছিলেন সে বিষয়টি বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে তখন স্পষ্ট হয়নি।

যুক্তরাজ্য সফরে বিএনপি চেয়ারপারসন সে দেশের কোনো রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কি না জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে রিপন বলেন, “তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনবার, দুই বার সংসদে বিরোধীদলের নেত্রী ছিলেন। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান তিনি। সুতরাং যে দেশে সফর করবেন, সেদেশের প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপার থাকে, সৌজন্য সাক্ষাতের ব্যাপার থাকে, থাকতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।”

Print Friendly, PDF & Email