আদালত প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ সিরাজুল হক ওরফে সিরাজ মাস্টার ও আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত খান আকরাম হোসেন উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। এদিকে এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার বিষয়টি জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
অন্যদিকে ট্রাইব্যুনালের এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনাল আদেশে সিরাজ মাস্টারকে ১, ২, ৩, ৪ ও ৫ নম্বর অভিযোগে ফাঁসি অথবা গুলি করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। অপরদিকে ৭ নম্বর অভিযোগে খান আকরাম হোসেনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া ৬ নম্বর অভিযোগ থেকে তাদের দু’জনকেই খালাস দেওয়া হয়েছে।
প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগেরহাটে হত্যা, গণহত্যা ও লুণ্ঠনসহ এক থেকে পাঁচ নম্বর অভিযোগে সিরাজ মাস্টারকে ফাঁসি অথবা গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও খান আকরামকে একটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। যেহেতু এ মামলার অন্যতম আসামি আব্দুল লতিফ তালুকদার রায়ের আগেই মারা গেছেন, তাই তার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি ট্রাইব্যুনাল।
তিনি আরও বলেন, সিরাজ মাস্টার খুব তৎপর ব্যক্তি ছিলেন। ’৭১-এ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬০০ থেকে ৭০০ মানুষকে তিনি নিজে নেতৃত্ব দিয়ে হত্যা করেছেন। ট্রাইব্যুনালে হাজির করা প্রত্যেক সাক্ষী সিরাজ মাস্টারকে শনাক্ত করেছেন। এতগুলো খুন করার পর এই সিরাজ মাস্টার মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন।’
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল ওরফে বিচ্ছু জালাল বলেন, ‘এ রায়ে আবারও প্রমাণিত হল, বাংলাদেশের মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের স্থান নেই। এ রায়ে আমরা গর্বিত ও সন্তুষ্ট।’
এ বিভাগের আরো..
ঝিনাইদহে কৃষক হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন ও ৩ জনের সশ্রম কারাদন্ড
হাইকোর্টের আদেশ আপিলে স্থগিত, রমজানে স্কুল খোলা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নতুন চেয়ারম্যান বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার