March 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

কিশোর হত্যায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সভাপতি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আরজু মিয়া (২৮) নিহত হয়েছেন। তিনি মোবাইল চুরির অভিযোগে কিশোর রাজাকে (১৭) পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন।

র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ক্যাপ্টেন মাকসুদুল আলম বলেন, ‘সোমবার রাতে আরজুকে আটক করে নিয়ে আসার সময় তার সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নিতে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। তখন র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় আরজু গুলিবিদ্ধ হলে তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। রাত সাড়ে তিনটার দিকে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।’

তিনি জানান, পরে আরজুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে, হাজারীবাগ থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরজু মিয়া হাজারীবাগ গণকটুলি এলাকার ৪৫/১/এ নম্বর বাসার লাল মিয়ার ছেলে।

এর আগে কিশোর রাজাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আটকরা হলেন— মনির (৩৫), সাগর (২২) ও সুজন (২৫)।

হাজারীবাগ থানার উপ-পরিদর্শ (এসআই) ওয়ালিদ মাহমুদ সোমবার রাতে জানান, আটক ওই তিনজন রাজাকে পিটিয়ে হত্যার প্রধান অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সভাপতি আরজুর সঙ্গে চলাফেরা করতো।

রাজার ফুপু রত্না বেগম জানান, রাজা তার বাবা বাবুল মিয়ার সঙ্গে গণকটুলি এলাকার ৪৬ নম্বর বাসায় থাকতো। তাদের বাসার পাশেই ছাত্রলীগ সভাপতি আরজুদের বাসা।

তিনি অভিযোগ করেন, সকালে আরজুর বাসা থেকে তার একটি মোবাইল খোয়া যায়। এ ঘটনায় সন্দেহ করে আরজু কিশোর রাজাকে ধরে তার বাসায় নিয়ে যায়। এর পর বাসার গেট বন্ধ করে তাকে বেদম মারধর করে। বিকেল ৪টার দিকে রাজাকে অচেতন অবস্থায় বাসায় দিয়ে যায়।

রাজার পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে বিকেল ৫টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email