রাবি প্রতিনিধি : ‘স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয়ে ‘নির্যাতনবিরোধী ছাত্র-শিক্ষক দিবস’ পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যায়ের ডিনস কমপ্লেক্সের পেছন থেকে তারা একটি মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টুকিটাকি চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন।
রাবি ছাত্র ফেডারেশন ফারুক ইমনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০০৭ সালের ২২ আগস্ট সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে যে সকল ছাত্র-শিক্ষক আন্দোলন করে তাদের নামে মামলা করা হয়। কিন্তু এ ঘটনার এত বছর পার হলেও তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। এমনকি বিভিন্ন সময় পুলিশ, র্যাব দিয়ে ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান বক্তারা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আলমগীর হোসেন সুজন, রাবি ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক যারিফ মুহিব অয়ন, রাবি ছাত্র ইউনিয়নের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক সাইদুজ্জামান, রাবি বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর অর্থ সম্পাদক খালেদুর রাবি প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাতাহাতি হয়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরদিন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল বের করলে সেনাবাহিনী শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে এ আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
আন্দোলনকে দমাতে ২২ আগস্ট রাবিতে সেনাবাহিনী নির্বিচারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আটক, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দেয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের থানায় আটক রেখে নির্যাতন করা হয়। এরপর থেকে দিনটিকে ‘নির্যাতনবিরোধী ছাত্র-শিক্ষক দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
এ বিভাগের আরো..
গরীব শিক্ষার্থীদের মিল বন্ধ থাকায় স্কুলে অনাগ্রহ
বেনাপোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিহত ৯ শিশুর স্মরণে শোক র্যালী
অভিভাবকদের গলা চেপে ধরেছে শিক্ষা ব্যয়