নিজস্ব প্রতিবেদক: অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সাম্য, মানবতা ও প্রেমের জয়গানে দৃপ্ত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ দিনটিকে ঘিরে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ফজরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরানখানি, এরপর অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমাবেশ ও উপাচার্যের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা করে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সূরা ফাতেহা পাঠ করা হবে। পরে কবির মাজার প্রাঙ্গণে উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। পরে সকালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কবির সমাধি সৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
১৯৭৫ সালের ২৭ আগস্ট বাংলা ১৩৮৩ সালের ১২ ভাদ্র মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এ দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জাতীয় কবিকে তার ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে, ১৮৯৯) তৎকালীন ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ‘দুখু মিয়া’। বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন।
বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তার রচিত ‘চল্ চল্ চল্ ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল’ গানটি বাংলাদেশের রণসঙ্গীত হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
নজরুল বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিণী সৃষ্টি করে বাংলা সংগীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবিকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং যথাযথ মর্যাদায় এ দেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন।
এ বিভাগের আরো..
আগামীকাল মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস
মানুষের কল্যাণে নীরবে যারা কাজ করছেন তাদের সম্মান দিন : প্রধানমন্ত্রী
স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ থাকবে ২৩-২৫ মার্চ