March 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

‘রাজধানীতে বঙ্গবন্ধুর নতুন স্মৃতিসৌধের পরিকল্পনা নেই’

ডেস্ক প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামানের স্মৃতি রক্ষায় রাজধানী ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর আর কোন স্মৃতিসৌধ স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের নেই।

তিনি আজ সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ রয়েছে। পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেখান থেকে জাতির পিতা ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, যেখানে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিলেন এবং যে জায়গায় ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে জাতিকে দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সেখানে একটি বিজয় স্তম্ভ, আলোক স্তম্ভ ও শিখা চিরন্তন স্থাপন করা হয়েছে। এর নিচে একটি স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এই স্মৃতি স্তম্ভ ও আলোক স্তম্ভ আমাদের বিজয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে, পাশাপাশি ওই স্মৃতি স্তম্ভ জাতির পিতার প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার ঢাকা শহরে একমাত্র সম্পদ ৩২ নম্বরের বাড়িটি পেয়েছিলাম উত্তরাধিকার সূত্রে আমি এবং আমার একমাত্র বোন রেহানা । এই বাড়ি থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই বাড়ি থেকে গিয়ে তিনি ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন, এই বাড়িতে বসেই তিনি ৬ দফা প্রণয়ন করেছিলেন, এই বাড়িতেই তিনি জীবন দিয়েছিলেন। সেই বাড়িটিও আমরা দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দেশবাসীর সচেতনতা। মানুষ যদি সত্যকে জানে এবং তা গ্রহণ করে তাহলে নিশ্চয়ই কেউ বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলতে পারবে না। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ব থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না।

তিনি তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, ‘যখন বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করে পাঠ্যপুস্তক থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছে, তখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর নাম সংরক্ষিত ছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার যেখানে জন্মভূমি, যেখানে তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত সেই টুঙ্গীপাড়ায় তার যে মন্যুমেট করা হয়েছে, সেটাও করা হয়েছে অতি সাধারণ ও অত্যন্ত সাদাসিধেভাবে। কারণ তিনিও সাধারণভাবে জীবন যাপন করেছেন।

তথ্যসূত্র: বাসস

Print Friendly, PDF & Email