ডেস্ক প্রতিবেদন : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মনে করে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অবশ্য গত নভেম্বরে সংস্থাটির আর্টিকেল-ফোর মিশন ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের কথা জানিয়েছিলো।
সোমবার ওই মিশনেরই আরেক প্রতিবেদনে প্রবৃদ্ধি কমিয়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশের কথা বলা হয়েছে। তবে ২০১৬- ২০১৭ অর্থবছরে বেড়ে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। আইএমএফ দুই বছরে একবার কোনও দেশের ওপর আর্টিকেল-ফোর পর্যালোচনা করে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের পর বাংলাদেশের ওপর সর্বশেষ পর্যালোচনা করা রিপোর্টটি সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।এতে প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়েও তাদের দেওয়া পূর্বাভাস সংশোধন করেছে।
আইএমএফ মনে করে চলতি অর্থবছরে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়াবে৷ আগে তাদের পূর্বাভাস ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ওগ্যাসের দাম বৃদ্ধিসহ কিছু কারণে আইএমএফ মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস কিছুটা বাড়িয়েছে। সংস্থাটি বলছে, কয়েক মাসের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের দুর্বল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তারা প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে। আন্তর্জাতিক এই দাতা সংস্থা মনে করে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, অবকাঠামোর সংকট এবং আর্থিক খাতে দুর্বল অবস্থা প্রবৃদ্ধির পথে মূল চ্যালেঞ্জ৷ আইএমএফ মনে করে, ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংঘাত কমলেও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা রয়েছে। এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে কয়েকজন বিরোধী রাজনৈতিক নেতার সাজা হয়েছে। এ সব কারণে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দীর্ঘায়িত হতে পারে। সংস্থাটির মতে, ঋণ, বিনিয়োগ ও জিডিপি প্রবৃদ্ধির গুরুত্বপুর্ণ বাঁধা হলো আর্থিক খাতের দুর্বলতা। ২০১২ সালের শেষ থেকে ব্যাংকিং খাতে বিশেষত রাস্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে সম্পদের গুণগত মান, মুনাফা ও মূলধন পর্যাপ্ততার অবনতি হয়েছে।
এ বিভাগের আরো..
ই-ক্যাবের নির্বাচন: শমী কায়সার সভাপতি, আব্দুল ওয়াহেদ তমাল সাধারণ সম্পাদক
সংসদে অর্থমন্ত্রীর ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পেশ শুরু
রেমিটেন্সের বিপরীতে নগদ সহায়তা পদ্ধতি সহজ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক