March 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

শুক্রবার শুরু হচ্ছে সাফ

ক্রীড়া প্রতিবেদক : দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ও মর্যাদার ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এসএ গেমস। ২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে একাদশ আসর। দীর্ঘ অর্ধযুগ পর গেমসের দ্বাদশ আসর বসতে যাচ্ছে ভারতের দুটি রাজ্য আসাম ও মেঘালয়য়ে। এ দুই রাজ্যের দুই শহর গুয়াহাটি ও শিলং বুকে ধারণ করতে যাচ্ছে এ অঞ্চলের ৮ দেশের ক্রীড়াবিদদের। রাত পোহালেই শুরু গেমসের দিন। দুটি শহরেই ভিন্ন ভিন্নভাবে উদ্বোধন হচ্ছে গেমস। শুক্রবার গুয়াহাটিতে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও বর্ণাঢ্য এই ক্রীড়া আসরের উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

২০১০ ঢাকা এসএ গেমসে বাংলাদেশ ১৮ স্বর্ণ, ২৪ রৌপ্য ও ৫৫ তাম্র পদক জিতেছিল। ছয় বছর পরের গেমস দেশের বাইরে। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত কয়টি স্বর্ণ পাবে তা কেউ জোর গলায় প্রতিশ্রুতি দিতে পারছেন না। এই আসরটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২০১২ সালে। কিন্তু সে বছর লন্ডন অলিম্পিকের কারণে গেমসটি হয়নি। এরপর ২০১৪ সালে ভারত অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনকে নিষিদ্ধ করে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। ২০১৫ সালে ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে আবারও গেমস আয়োজনের আশার আলো জ্বলে ওঠে। অনেক অপেক্ষার পর পর্দা উঠছে শুক্রবার।

গেমসে অংশ নিতে গত দুই দিনে ভারতে গেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের একাংশ। প্রথম দিন গেছে কুস্তি, উশু, ভলিবল, মহিলা ফুটবল, আরচারি, সাইক্লিং, খো খো, সাঁতার ও স্কোয়াশ দল। আজ (বৃহস্পতিবার) গিয়েছে ব্যাডমিন্টন, টেনিস, টিটি, এ্যাথলেটিক্স, হকি ও পুরুষ ফুটবল দল। ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ বহরে যাবে বাস্কেটবল, বক্সিং, হ্যান্ডবল, জুডো, কারাতে, শুটিং ও তায়কোয়ান্দো দল।

গতবার বাংলাদেশের ১৮ স্বর্ণপদকের মধ্যে কারাতে ডিসিপ্লিনে চারটি, গলফে দুটি ও ক্রিকেটে একটিসহ মোট ৭টি স্বর্ণপদক এসেছিল। এবারের আসরে ওই ইভেন্টগুলো না থাকায় পদক সম্ভাবনার দিক থেকে । এমনিতেই অনেক পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।

এসএ গেমসকে সামনে রেখে গত বছরের আগস্ট থেকে বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) উদ্যোগে বিভিন্ন ফেডারেশন তাদের প্রস্তুতি শুরু করে। এবার আরচারি, এ্যাথলেটিক্স, বক্সিং, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, কাবাডি শুটিং, সুইমিং, ভলিবল, তায়কোয়ানদো, ভারোত্তোলন, কুস্তি, সাইক্লিং, বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল, ফুটবল, জুডো, টেনিস, হকি, খো খো, উশু ও স্কোয়াশসহ ২২টি ডিসিপ্লিনে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ।

যদিও প্রাথমিকভাবে ১৯টি ডিসিপ্লিন এসএ গেমসে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তীতে আরও ৩টি নতুন ডিসিপ্লিন খো-খো, স্কোয়াশ এবং টেনিস অন্তর্ভুক্ত হয়। গেমসের ২৩ ডিসিপ্লিনের মধ্যে বাংলাদেশ শুধু ট্রায়াথলনে অংশ নিচ্ছে না।

গেমসে বাংলাদেশের ২২৩ পুরুষ এবং ১৪৭ মহিলা খেলোয়াড়, ৬০ কোচ, ৩৯ ম্যানেজার এবং অন্যান্য কর্মকর্তাসহ মোট ৪৬৯ সদস্যের দল অংশগ্রহণ করবে। এই কন্টিনজেন্টের সঙ্গে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে ১১ বিদেশী প্রশিক্ষকও রয়েছেন। তাছাড়া বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, হেড কোয়ার্টার্স অফিসিয়াল এবং টিম ডাক্তারসহ সর্বমোট ৫২০ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ দল গঠন করা হয়।

গেমসে বাংলাদেশ দলের সেফ দ্য মিশন আশিকুর রহমান মিকু, ডেপুটি সেফ দ্য মিশন হিসেবে আহমেদুর রহমান বাবলু এবং কামরুন নাহার ডানা। কো-অর্ডিনেটর গ্রুপ ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম। গৌহাটিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলের পতাকা বহন করবেন ভারোত্তোলক ১১তম এসএ গেমসে স্বর্ণপদক বিজয়ী হামিদুল ইসলাম। ৬ই ফেব্রুয়ারি শিলং পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পতাকা বহন করবেন বক্সার আব্দুর রহিম।

Print Friendly, PDF & Email