March 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

কৃষকের প্রতি সম্মান জানান : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :  কৃষকের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকেই কৃষকের ঘরে জন্ম নিয়ে পড়াশোনা করে আর কৃষক হতে চায না। এমনকি বাবা কৃষক এমন পরিচয় দিতেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। আমাদের সমাজের জন্য এটি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। কৃষকের প্রতি যথাযথ সম্মান জানাতে পারলেই সমাজের উন্নয়ন ত্বরানিত হবে।

মঙ্গলবার বিকেলে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার্থীদেরেকেও মাঠে যেতে হবে। শিক্ষাকার্যক্রমের আওতায় তাদের কৃষি মাঠে নিয়ে যাওয়া উচিত, স্কুল-কলেজে এ জন্য যদি অতিরিক্ত নম্বরের ব্যবস্থাও করা লাগে তবে সেটি করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, শুধু ঘরে বসে মজার মজার ফল, খাদ্য খেলেই হবে না। জানতে হবে কোন ফসল কী করে হয়, কেমন করে জন্মায়। আমাদের নতুন প্রজন্ম এ বিষয়ে জানলেই আগামীতে আরও কৃষির উন্নতি সম্ভব।

কৃষি উন্নয়নে ও কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে তার সরকারের পদক্ষেপগুলো উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কৃষি উপকরণ কার্ড দিয়েছি, যা ২ কোটি কৃষক পাচ্ছেন। এছাড়া দেওয়া হচ্ছে ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সুবিধা, যা ১ কোটি কৃষক পাচ্ছেন। আমরা দেশি মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষণা চালু করি- এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে চতুর্থ স্থান নিয়েছি এখন।

তার আগে বক্তব্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে জীবন্ত কিংবদন্তি উল্লেখ করে বলেন, তার হাতের ছোঁয়া পরশ পাথর। তিনি যেখানে হাত দিয়েছেন সফল হয়েছেন, দেশের উন্নয়ন করেছেন। এদেশের মানুষ সারাজীবন তাকে কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ রাখবে। কৃষি উন্নয়নে কৃষকের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন সৈয়দ আশরাফ।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ১৯৯৬ সালের ‘কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও’ কর্মসূচির কথা স্মরণ করে বলেন, তারই ফল হিসেবে ২০০০ সালে বাংলাদেশ একবার খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়।

‘কৃষি বিষয়ে যদি কোনো জরিপ হয় তাহলেও শেখ হাসিনা এক নম্বরে থাকবেন- কারণ শেখ হাসিনা প্রকৃত অর্থেই জনবান্ধব, বাংলার গরিব মানুষের মমতাময়ী মা,’ যোগ করেন মতিয়া চৌধুরী।

Print Friendly, PDF & Email