যাকে নিয়ে এতো কথা কবির হোসেন সরকার। তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরের ঘটনাসহ একাধিক মামলা রয়েছে আশুলিয়া থানায়। এর মধ্যে দুটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তবে কবির সরকারের দাবী, তিনি সবগুলো মামলায় জামিনে রয়েছেন। সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন মামলার কারণে পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচতে কবির সরকার স্থানীয় সংসদ সদস্য এনামুর রহমানের হাত ধরে যুবলীগের ছায়াতলে আসেন। এবার হয়েছেন আশুলিয়া থানার যুবলীগের আহবায়ক। আহবায়কের দায়িত্ব পেয়েই বিভিন্ন ইউনিয়নে বিতর্কিতদের নিয়ে গঠন করেছেন স্থানীয় কমিটি। সাভারের এক জনসভায় আওয়ামী লীগে লোক নেওয়া সম্পর্কে দলের সভাপতিমন্ডলীর এক সদস্য বলেছিলেন, এখন অনেকেই আসবে, আপনারা দেখেশুনে নেবেন। কিন্তু মন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পরও কবির সরকারকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সাংসদ এনামুর রহমান।
এ প্রসঙ্গে আশুলিয়া থানা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন খান দৈনিক প্রথম কথার প্রতিবেদককে বলেন, হত্যাসহ নাশকতার মামলার আসামীদের দলে ভেড়ানোর সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। কবির সরকারের বাড়ি গাজীপুরের কাশিমপুরে। তাঁদের গোটা পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে অতপ্রত ভাবে জরিত। এর পরেও দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রাধান্য না দিয়ে তাঁকে আশুলিয়ার যুবলীগের আহবায়ক করা হয়েছে। জানা গেছে, ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই কবীর সরকার সাভারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছিলেন। পেট্রলবোমায় গাড়ি পোড়ানোর পাশাপাশি নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিলেন তিনি। এর পর থেকে তিনি যুবলীগের কর্মী হিসেবে স্থানীয় সাংসদ এনামুর রহমানের সঙ্গে নিজের ছবি জুড়িয়ে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় বিলবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন। সাংসদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও যান। একটি সূত্রে জানা যায়, যাঁরা কয়েক মাস আগেও খালেদা জিয়া আর সাভারের বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের ছবির সঙ্গে নিজেদের ছবি জুড়িয়ে বিলবোর্ড স্থাপন করেছেন, তাঁরাই এখন সাংসদ ডা: এনামুর রহমানের হাত ধরে রাতারাতি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মী হয়ে গেছেন। মানুষ পুড়িয়ে হত্যাসহ একাধিক নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের পরও ঢাকার সাভার যুবদলের নেতা কবির হোসেন সরকার স্থানীয় সাংসদ এনামুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে যুবলীগের নেতা হয়েছেন। এ নিয়ে স্থানীয় যুবলীগের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা প্রথম কথাকে বলেন, কবির যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। কবীর সরকারের বাড়ি গাজীপুরের কাশিমপুরে। তাঁদের গোটা পরিবার বিএনপির রাজনীতির অংশীদার। সে বিএনপির এজেন্ট হয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে। দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বঞ্চিত করে পেশিশক্তি আর টাকার জন্যই যাকে তাকে দলীয় পদ দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে কবির সরকার জানান, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রতিপক্ষরা যুবদল নেতা বলে অভিহিত করে। তিনি আরো বলেন, আমার দাদা সবেদ আলী সরকার সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। হত্যা ও নাশকতার অভিযোগে করা একাধিক মামলার আসামি কবীর সরকার যুবলীগে যোগ দেয়ার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ভূক্তভোগীরা কথা বলতেও সাহস পায় না। ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানান অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে নব্য যুবলীগের এই নেতার বিরুদ্ধে।শুধু তাই প্রতিটি ফ্যাক্টরী থেকে বিভিন্ন কায়দায় লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ বিভাগের আরো..
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভা কাল
অধ্যক্ষ জীবুন নিছাকে সংরক্ষিত আসনে এমপি হিসেবে পেতে চায় টাঙ্গাইলবাসী