March 28, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

সম্প্রীতি বাংলাদেশের ‘সম্প্রীতি, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির বিজয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা

ডেস্ক : সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সম্প্রীতি, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির বিজয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সরকার বৈশ্বিক পুঁজির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন একুশের গানের রচয়িতা আব্দুল গফফার চৌধুরী।

রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল-এ ‌‌সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সম্প্রীতি, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির বিজয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আব্দুল গফফার চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি এবং সমর্থণ করেই বলছি- এই সরকার সম্পূর্ণভাবে বৈশ্বিক পুঁজিবাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাই ক্যাপিটালিজমের ভালো দিকগুলো বাংলাদেশে আসেনি, এসেছে খারাপ দিকটা। চুরি, লুণ্ঠন, ধর্ষণের মতো অপকর্ম বেড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগে জামায়াতের অনেকেই অনুপ্রবেশ করেছে। বর্তমানে দলে এমন অনেকেই আছে যারা মুজিব হত্যার পর খুশি হয়েছিলেন। আমি শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করে বলতে চাই রাজাকারদের তালিকা করার আগে এদের তালিকা তৈরি করুন।’

ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু এলিট ক্লাস লোক আছে, জাতির কোন ক্রাইসিসে তাদের পাওয়া যায় না। আমি ড. কামাল হোসেন কে বলেছি, আপনি তো পাসপোর্ট রেডি রাখেন। যখনই কোনো সংকট হয় তখনই দেশ ছাড়েন। এখন আপনি গণতন্ত্র চান? এখন যেই গণতন্ত্রের কথা বলছেন সেই অধিকার তো শেখ হাসিনার জন্য পেয়েছেন।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, আমাদের দেশ নিয়ে, সংবিধান নিয়ে ষড়যন্ত্র নতুন নয়। এর আগেও অনেক বড় বড় সেনা কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্টে বসে সংবিধানে অনেক কিছু সংযোজন-বিয়োজন করতে চেয়েছিলো, কিন্তু তারা সফল হয়নি। কারণ এ সংবিধান ৩০ লাখ শহীদের রক্ত দিয়ে লেখা। সংবিধানের চার স্তম্ভকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলো অনেকে, পারিনি। যতদিন একজন বাঙালি থাকবে তারা কখনই সফল হবে না।

তিনি বলেন, আমরা বিজয়ের এত বছর পরেও শহীদ নিয়ে চক্রান্ত। আমি কোনো রাজাকারের আত্মীয়-স্বজন বা রাজাকারের নাম উচ্চারণ করতে চায় না। তবে যে পত্রিকাটি (দৈনিক সংগ্রাম) রাজাকারকে শহীদ উল্লেখ সংবাদ প্রকাশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় এমন পদক্ষেপ নেবে, যাতে কেউ এমন ধৃষ্টতা দেখাতে না পারে।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো, যে চারজন বিচারপতি কসাই কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে আমি একজন। তার বিচারে অংশ নেওয়াতে তার কার্যকলাপ আমি পড়েছি, দেখেছি তিনি কতটা নিষ্ঠুর ছিলেন। তিনি কবি-সাহিত্যিককে হত্যা করেছেন। আজ অনেক পরে এসে বলা হলো তিনি নাকি শহীদ হয়েছেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, ষড়যন্ত্র শুধু দেশের মধ্যে না জাতীয় প্রেসক্লাব নিয়ে চলছে। আমি প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করেছি। শহীদ সাংবাদিকদের তালিকা প্রকাশ্যে রেখেছি, যা এতদিন প্রেসক্লাবের এক কর্নারে ছিলো।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শহীদকন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী, সাংবাদিক হারুণ হাবিব প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email