March 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ডেস্ক: আজ ১০ ডিসেম্বর শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশার প্রথম শিকার হন সিরাজুদ্দীন হোসেন। স্বাধীনতার প্রাক্কালে এই দিনে ঘৃণ্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর আলবদর ও রাজাকার বাহিনীর বর্বররা তাঁর চামেলীবাগের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাক-এর কার্যনির্বাহী ও বার্তা সম্পাদক। ব্রিটিশ আমলের শেষ ভাগ থেকে শুরু করে তাঁর সাংবাদিকতা জীবন স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত ব্যাপ্ত। এই পুরো সময়কালে দেশের সব আন্দোলনের সঙ্গে ছিল তাঁর সরাসরি যোগাযোগ।

১৯৭১ সালে অবরুদ্ধ দেশে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে সাংবাদিকতা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবরুদ্ধ ঢাকায় বসে ইত্তেফাকের সিরাজুদ্দীন হোসেন লিখেছিলেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক প্রতিবেদন ‘ঠগ বাঁছিতে গাঁ উজাড়’। সিরাজুদ্দীন হোসেনের স্বহস্তে লেখা সেই প্রতিবেদনের মূল কপি’র চিত্র এটি।

সিরাজুদ্দীন হোসেনের অসাধারণ হেডিং বাঙালির রক্তে আগুন ধরিয়ে দিত। ‘চিনিল কেমনে’, ‘সুকুইজ্জা কডে’, ‘জয় বাংলার জয়’, ‘অবশেষে বাংলার ভাগ্যাকাশ হইতে বাস্তিলের কারাগার ধসিয়া পড়িয়াছে, জনতার জয় হইয়াছে’, ‘বিক্ষুব্ধ নগরীর ভয়াল গর্জন’ এবং দুই পাকিস্তানের ভারসাম্যহীনতাকে সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করে শিরোনাম করেছেন।

তিনি লিখছেন ‘ষ্টাফ রিপোর্টার’ হিসেবে। এভাবে তিনি কখনো ষ্টাফ রিপোর্টার, কখনো নিজস্ব প্রতিবেদক, কখনো বা ‘রাজনৈতিক ভাষ্যকার’ ইত্যাদি নানা নামে নিজেই সংবাদ লিখে পত্রিকাটি সাজাতেন। কঠোর সেন্সরশীপের মধ্যে তিনি তাঁর খবর পরিবেশনায় এমন সব মুন্সিয়ানা করতেন যে তা মুক্তিকামী বাংগালীর জন্য ‘ইশারাই কাফি’ ছিল। এভাবেই সিরাজুদ্দীন হোসেন শ্বাপদ সংকুল পরিবেশের মধ্যে থেকেও সাংবাদিকতায় চরম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email