তৌহীদ রেজা নূর : ‘শুভ্র শঙ্খরবে সারা নিখিল যখন ধ্বনিত, আকাশতলে অনিলে-জলে, দিকে -দিগঞ্চলে, সকল লোকে, পুরে, বনে-বনান্তরে শরত প্রকৃতি যখন নৃত্যগীতছন্দে নন্দিত’- তখনই অকস্মাৎ অসুরের প্রবল আক্রমনে দারুণভাবে দীর্ণ হতে দেখছি চারপাশ! দুর্গাপূজা উৎসব পালনকে কেন্দ্র করে যা ঘটে চলেছে আমার দেশে তা একাধারে নিদারুণ লজ্জার, ক্ষোভের ও বেদনার।
প্রবাস থেকে নানাভাবে জানতে পারছি দুর্গাপূজা চলাকালে কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে যে সহিংসতার শুরু হয়েছিল তা দেশের আরো নানা অঞ্চলে ছড়িয়েছে, আরো ছড়াবার প্রচেষ্টা করছে ভেদবুদ্ধিসম্পন্ন ‘মানুষের’ দল। এইসব সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং সবটাই সুপরিকল্পিত তা দিবালোকের মত পরিষ্কার।
এহেন আক্রমন করছে যে ধর্মান্ধ ‘মুসলমানেরা’ – তারা একদিকে গোটা দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা করছে, অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পরিসরে বিনষ্ট করায় জোর ভূমিকা রাখতে সমর্থ হচ্ছে।
সাম্প্রদায়িক মহলের চক্রান্ত প্রতিরোধে, দেশব্যাপী এহেন জঘন্য হামলার বিপরীতে সম্প্রীতি বজায় রাখতে মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী দল এবং শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই হবে। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণার যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরী।
অন্য ধর্মে বিশ্বাসী মানুষকে নিন্দা, ঘৃনা, ও অসম্মান করার যে সংস্কৃতি আমাদের সমাজে বাড়-বাড়ন্ত – তা আমাদের মাথাকে হেট করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এ বিভাগের আরো..
অতিরিক্ত ভালোবাসা ঠিক নয়
সংসদ সদস্যকে আইন প্রনয়ন নয়, মানতেও হবে
জাতীয় চারনেতা হত্যা নেপথ্যে থাকা কুশলীব কারা