March 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

মস্কোতে চট্টগ্রাম বন্দরের মাইন অপসারনের উপর প্রিমিয়ার শো ‘স্বাধীনতা টাকা শ্বাস না’ প্রদর্শিত

ডেস্ক: বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৯৭২-১৯৭৪ পর্যন্ত তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার নৌ বাহিনী কর্তৃক চট্টগ্রাম বন্দরের মাইন অপসারনের উপর ভিত্তি করে ‘স্বাধীনতা  টাকা শ্বাস না’ শীর্ষক একটি বিশেষ তথ্যচিত্র মস্কোতে প্রিমিয়ার হয়েছে।
রাশিয়ার চলচ্চিত্রকার ইভগেনি বারখানভ পরিচালিত তথ্যচিত্রটির উদ্ধোধনী শো রাশিয়ার সেলিব্রেটিদের উপস্থিতিতে গত ২৮ ডিসেম্বর মস্কোর সেন্ট্রাল সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া তথ্যচিত্রের পরিচালক ইভজেনি বারখানভ এবং মাইন অপসারনের সঙ্গে জড়িত তরুণ নৌ বাহিনী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন (অব.) নিকোলায়েভিচ কোলোসকভও উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘৪৪ মিনিটের এই ডকুমেন্টারিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কিছু দূর্লভ ভিডিও ফুটেজ রয়েছে, যা এর আগে আমাদের অনেকে কখনো দেখিনি।’
তথ্যচিত্রে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরের ঘটনা দেখানো হয়েছে, কারণ চট্রগ্রাম নৌবন্দরে ডুবে যাওয়া জাহাজ ও মাইনের জন্য চালু করা যাচ্ছিল না। সে সময় পশ্চিমা কোন দেশ আমাদের এই বিষয়ে সাহায্য করার কোন আগ্রহ দেখায়নি।
কিন্তু ১৯৭২ সালের ১ থেকে ৩ মার্চ মস্কোতে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগিন ও সোভিয়েত কমিউনিষ্ট পার্টির সেক্রেটারী জেনারেল লিউনিভ ব্রেজনেভকে ডুবন্ত জাহাজ উদ্ধার ও মাইন অপসারনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন।
সোভিয়েত সরকার বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে সাড়া দিয়ে ভøাদিভোস্টকে অবস্থিত তাদের প্রশান্ত  মহাসাগরীয় নৌঘাটি থেকে প্রায় ৯ শ’ নৌসেনাকে মাইন অপসারন ও নিমজ্জিত জাহাজ উদ্ধার করতে সামরিক নৌ যানসহ চট্রগ্রামে পাঠায়।
তথ্যচিত্রটিতে  এডমিরাল ইউরি কনস্ট্যান্টিনোভিচ সেনাটস্কিও রাশিয়ান নৌ বাহিনীর আরো দু’জন উর্ধতন কর্মকর্তার সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে মাইন অপসারন ও প্রাসঙ্গিক ঘটনা গুলো দেখানো হয়েছে। এডমিরাল ইউরি চট্রগ্রাম নৌ বন্দরে নিয়োজিত সোভিয়েত নৌ বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এডমিরাল ইউরি সাক্ষাৎকারটি দেওয়ার পর পরই ২০২০ সালের কভিড-১৯ লকডাউনের সময় মারা যান।
৪৪ মিনিটের এই তথ্যচিত্রটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুর্লভ কিছু ভিডিও ফুটেজ রয়েছে যা আমরা অনেকেই আগে কখনো দেখিনি। (বাসস)

Print Friendly, PDF & Email