মিসেস রুনা আমির,ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ “ইটের বাছুর, কাঠের গাই, গলা কেটে দুধ দোহাই”
একসময় শীতের মৌসুমে গ্রামে গঞ্জে খেজুরের রসের তৈরি বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যেতো। গ্রামীন ঐহিত্যের সাথে এটার একটা বহু দিনের মেলবন্ধন রয়েছে। সময়ের স্রোতে অনেক কিছুই বিলিন হয়েছে সেই ধারায় এখন খেজুরের রসও বিলিন হওয়ার পথে ।
বর্তমানে গ্রাম গঞ্জে খেজুরের রসের দেখা মেলা ভার। মূলত গনহারে খেজুর গাছ কাটার কারনে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে নলছিটিতে সেই পুরনো ঐহিত্য ধরে রেখেছেন বয়সের ভারে নুয়ে পরা দেলোয়ার হোসেন। শীতের মৌসুমে খেজুর গাছের রস বিক্রি করে তিনি মাসে ৪০ হাজার টাকা আয় করেন । বয়স ৬০ পেরুলেও এখনো বিশাল বিশাল গাছে অনায়াসে উঠতে পারেন তিনি। খেজুর গাছের সংখ্যা কমতে থাকলেও নিজের পেশাকে এখনো আঁকড়ে আছেন ।
উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের অভয়নীল গ্রামে প্রায় ৪০-৫০ টি খেজুর গাছ থেকে তিনি রস সংগ্রহ করেন।এতে প্রতিদিন প্রায় ২০থেকে ২৫ হাড়ি রস তিনি সংগ্রহ করতে পারেন। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫ হাজার টাকা। তিনি আরও জানান,নিজ গ্রাম ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে তার রস কিনতে লোকজন আসেন। আর এই বিক্রির টাকা দিয়ে তার সংসার খরচ করেও কিছু টাকা সঞ্চয় করতে পারেন।
এ বিভাগের আরো..
প্রতিনিয়ত বুড়িগঙ্গার দূষণ আরও বিস্তৃত হচ্ছে
উপকূলীয় মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করছে সামাজিক ম্যানগ্রোভ বনায়ন
পানিতে উচ্চ লবণাক্ততা উপকূলীয় নারীদের মারত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে