March 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

কাশিয়ানীতে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি)-এর অন্তর্ভুক্ত স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিম-এর আওতায় পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ সকালে কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন। সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি)-এর অন্তর্ভুক্ত স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিম-এর আওতায় পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কাশিয়ানী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাফুজা বেগমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাশিয়ানী উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা রামদিয়া সরকারি শ্রীকৃষ্ণ কলেজ ইংরেজী বিভাগ প্রভাষক, শেখ মতিউর রহমান এবং মাজড়া আলহাজ্ব এ.জি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল হাসান এছাড়াও কাশিয়ানী উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের কর্মসূচিভুক্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সংগঠকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, মো. মনিরুজ্জামান, তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাসহ যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্ন করা হয়। এসব পরীক্ষায় টিকে থাকতে হলে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি সৃজনশীল বইয়ের জ্ঞান থাকা জুরুরি। তাছাড়াও বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও বেশি সফল করতে আমাদের এই পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি প্রভাবক হিসাবে কাজ করবে। উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালার মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনের মাধ্যমে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’র কর্মপরিকল্পনা, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন জনাব মো. জাফর হোসেন, টিম ম্যানেজার, পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি। তিনি বলেন, উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালার অন্যতম উদ্দেশ্য মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তাদের মন এবং বয়স উপযোগী বই পড়ায় আগ্রহী করে তোলা। পাঠাভ্যাসের প্রসার ও সুযোগ বৃদ্ধি করা। কর্মসূচি পরিচালনার জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন, বইপড়া শেষে মূল্যায়নের ভিত্তিতে পুরস্কার প্রদান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরি টেকসই ও কার্যকর করার লক্ষ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। বইপড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে আজকের এই কর্মশালা।

স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিম-এর উপ-পরিচালক জনাব ড. আছিছুল আহছান কবীর এর মতে সরকারের অর্থে আমরা জীবনযাপন করি তাই সরকারের লক্ষ্য মাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে অর্পিত প্রতিটি কাজ যথাযথভাবে পালন করার প্রতি উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি আরো বলেন পাঠাভ্যাসই পারে মোবাইলের খারাপ দিকগুলোকে পরাজিত করে সমাজকে আলোকিত করতে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শেখ মতিউর রহমান বলেন, বই ও বই পড়ার ব্যপারে গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে বলেন বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠের অভ্যাস কমে গিয়েছে। সে অভ্যাস তুলে ধরে মেধা ও মননের বিকাশ সাধন করতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ হতে হবে এবং কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, কর্মসূচির দ্বারা শিক্ষার্থীদের বই পড়ার পাশাপাশি পাঠ দক্ষতার ব্যপারেও গুরুত্ব বাড়বে বলে মনে করেন। উপস্থিত শিক্ষক ও সংগঠকদের কর্মসূচির ব্যপারে উদ্বুদ্ধ করেন, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন, কর্মসূচি পরিচালনা করার ব্যপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতি প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংগঠকদের আহ্বান করেন এবং অত্র উপজেলায় পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

কর্মশালায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মাহাফুজা বেগম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, কাশিয়ানী। সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশ্বব্যাপি কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে দীর্ঘদিন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ড্রপআউট হয়েছে, বইপড়া থেকে ছিটকে পড়েছে, তাদেরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্রুত ফেরানোর জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বইপড়ার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করাসহ, র্যালি, বির্তক প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা ইত্যাদির আয়োজন করার জন্য পরামর্শ দেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সকল কর্মকর্তাকে প্রশংসা করে বলেন, এমন সুন্দর উদ্যোগ গ্রহণের ফলে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বইপড়ার সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি ভবিষ্যতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সকল কাজে সার্বিক সহযোগিতা করবেন এ মর্মে প্রতিশ্রুতি দেন এবং কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

Print Friendly, PDF & Email